রমজান মাস ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং এটি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও ফজিলতপূর্ণ মাস। এই মাসে রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। রমজান মাসের ফজিলত ও দোয়া সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো:
রমজান মাসের ফজিলত:
১. আল্লাহর নৈকট্য লাভ:
রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। রোজা সরাসরি আল্লাহর জন্য রাখা হয় এবং তিনি নিজেই এর প্রতিদান দেবেন।
২. পাপ মোচন:
রমজান মাসে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পূর্বের গুনাহ মাফ হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে রমজানের রোজা রাখবে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।" (বুখারী ও মুসলিম)
৩. কুরআন নাজিল:
এই মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। কুরআন তিলাওয়াত, অধ্যয়ন ও বুঝার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যায়।
৪. লাইলাতুল কদর:
রমজান মাসের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর (মর্যাদার রাত) রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে ইবাদত করলে অগণিত সওয়াব লাভ করা যায়।
৫. দান-সদকার বিশেষ গুরুত্ব:
রমজান মাসে দান-সদকার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এই মাসে বেশি দান করতেন।
### রমজান মাসের দোয়া:
১. রোজার নিয়ত:
"نَوَيْتُ صَوْمَ غَدٍ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِ شَهْرِ رَمَضَانَ هذِهِ السَّنَةِ لِلهِ تَعَالَى"
অর্থ: "আমি আগামীকাল আল্লাহ তাআলার জন্য রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম।"
২. ইফতারের দোয়া:
"ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ"
অর্থ: "পিপাসা দূরীভূত হলো, শিরাগুলো সিক্ত হলো এবং ইনশাআল্লাহ সওয়াব প্রতিষ্ঠিত হলো।"
৩. লাইলাতুল কদরের দোয়া:
"اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي"
অর্থ: "হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।"
৪. সাধারণ দোয়া:
"اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ"
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাকে আপনার স্মরণ, শুকরিয়া আদায় এবং উত্তম ইবাদত করার তাওফিক দিন।"
রমজান মাসে বেশি বেশি ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা), তাসবিহ, তাহলিল ও দরুদ পাঠ করা উচিত। এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা মুমিনের কর্তব্য।
Rate This Article
Thanks for reading: রোজার মাসের ফজিলত ও দোয়া Ramadan 2025, Stay tune to get latest Blogging Tips.